Google Add Code Here
ঢাকার তিন কলেজে মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে ভর্তির নিয়ম স্থগিত করে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে সরকার যে আবেদন করেছিল, আপিল বিভাগে তা খারিজ হয়ে গেছে। এর ফলে নটরডেম, হলিক্রস ও সেন্ট জোসেফ কলেজে পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়াই বহাল থাকল বলে তিন কলেজ কর্তৃপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারের করা আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম রেখে গত ১২ মে নীতিমালা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরে ১৭ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে ২৬ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়। নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিয়াস রোজারিও, হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা গোমেজ এবং সেন্ট জোসেফ কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন ওই নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে ১৯ মে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন, যাতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চাওয়া হয়।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য করা ওই নীতিমালার চারটি ধারা ও কয়েকটি উপধারা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২২ মে হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ওই তিন কলেজের ক্ষেত্রে নীতিমালা চার মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। ওই নীতিমালার চারটি ধারা কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহিভূর্ত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন নিয়ে যায়। ২৯ মে চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গৌতম রায়। আদেশের পর ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হওয়ায় হাই কোর্টের আদেশ বহাল রইল।”
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গত শুক্রবার তিনটি কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ১১ জুন ভর্তি প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। আবেদন খারিজ হওয়ায় ওই ভর্তি প্রক্রিয়াই বহাল থাকল। নীতিমালার ৩.১ ধারা অনুসারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা পরীক্ষা হবে না। ৪.১ ধারায় বলা হয়েছে, বোর্ড অনুমোদিত সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইন বা টেলিটক মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৪.২ ধারায় বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষ সর্বোচ্চ দশটি কলেজে বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিতে পারবে। ৩.২ ধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধস্থন দপ্তরসমূহসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য দুই শতাংশ কোটা রাখা হবে। এসব ধারা ‘স্বেচ্ছাচারি ও অস্বচ্ছ’- এই যুক্তি দেখিয়ে রিট আবেদনটি করা হয় বলে তানিম হোসেইন জানান।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম রেখে গত ১২ মে নীতিমালা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরে ১৭ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে ২৬ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়। নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিয়াস রোজারিও, হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা গোমেজ এবং সেন্ট জোসেফ কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন ওই নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে ১৯ মে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন, যাতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চাওয়া হয়।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য করা ওই নীতিমালার চারটি ধারা ও কয়েকটি উপধারা চ্যালেঞ্জ করা হয় রিট আবেদন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২২ মে হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ওই তিন কলেজের ক্ষেত্রে নীতিমালা চার মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। ওই নীতিমালার চারটি ধারা কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহিভূর্ত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন নিয়ে যায়। ২৯ মে চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশ না দিয়ে বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গৌতম রায়। আদেশের পর ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হওয়ায় হাই কোর্টের আদেশ বহাল রইল।”
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গত শুক্রবার তিনটি কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ১১ জুন ভর্তি প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। আবেদন খারিজ হওয়ায় ওই ভর্তি প্রক্রিয়াই বহাল থাকল। নীতিমালার ৩.১ ধারা অনুসারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা পরীক্ষা হবে না। ৪.১ ধারায় বলা হয়েছে, বোর্ড অনুমোদিত সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইন বা টেলিটক মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৪.২ ধারায় বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষ সর্বোচ্চ দশটি কলেজে বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিতে পারবে। ৩.২ ধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধস্থন দপ্তরসমূহসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য দুই শতাংশ কোটা রাখা হবে। এসব ধারা ‘স্বেচ্ছাচারি ও অস্বচ্ছ’- এই যুক্তি দেখিয়ে রিট আবেদনটি করা হয় বলে তানিম হোসেইন জানান।