Google Add Code Here
ইন্টারনেটে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়’ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিকার পাওয়ার জন্য ফেইসবুকের পাশাপাশি গুগল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গেও সরকারের ‘সমঝোতা’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। রোববার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ফেইসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে বিশদ আলোচনাপূর্বক সমঝোতা হয়েছে যে, যুক্তিগ্রাহ্য অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়সমূহে সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা প্রতিকারের বিষয়ে উত্তর দেবে।”
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নে সংসদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনার পর জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে গতবছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ দিন বাংলাদেশে ফেইসবুক দেখার সুযোগ বন্ধ করে রাখে সরকার। এর আগে পরে বিভিন্ন সময়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার এবং ইন্টারনেটে সহজে কথা বলার মাধ্যম স্কাইপ ও ইমো বাংলাদেশে বন্ধ রাখা হয় এই যুক্তিতে যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা পুলিশের নজরদারি এড়াতে এসব অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছে।
গত নভেম্বরে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেইসবুকের নানা ‘অপব্যবহার ও নেতিবাচক’ বিষয় তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ফেইসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকও করেন তারা। ওই সফরের পর দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি অবমাননাসহ বাংলাদেশের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সাপেক্ষে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অভিযোগ/অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
এরপর গত এপ্রিলে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ষান্মাষিক ‘গভার্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করলে দেখা যায়, তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধে তারা প্রথমবারের মত সাড়া দিয়েছে। গতবছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১২টি অনুরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৩১ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল ফেইসবুকের কাছে। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে দিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত আড়াই বছরে মোট ৩৭ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পায়নি বাংলাদেশ সরকার।
রুস্তম আলী ফরাজীর আরেক প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ফেইসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফট এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সদরদপ্তরসমূহের সহায়তায় বিটিআরসি ও ল’ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও এ বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।” নীতিমালা পরিপন্থী ভিডিও সরাবে ইউটিউব সংরক্ষিত আসনের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, “গুগল কর্তৃক ইউটিউবে নীতিমালা পরিপন্থি ভিডিও সরকারের অনুরোধে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া শিশু পর্নোগ্রাফি রোধ ও এবং সাইবার নিরাপত্তায় মাইক্রোসফটের সাথেও সরকার কাজ করছে।” বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে তারমধ্যে ২০টি বাংলাদেশের জন্য এবং ২০টি দেশের বাইরের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে বিদেশি মুদ্রা আয় করা যাবে। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নে সংসদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনার পর জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে গতবছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ দিন বাংলাদেশে ফেইসবুক দেখার সুযোগ বন্ধ করে রাখে সরকার। এর আগে পরে বিভিন্ন সময়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার এবং ইন্টারনেটে সহজে কথা বলার মাধ্যম স্কাইপ ও ইমো বাংলাদেশে বন্ধ রাখা হয় এই যুক্তিতে যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা পুলিশের নজরদারি এড়াতে এসব অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছে।
গত নভেম্বরে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেইসবুকের নানা ‘অপব্যবহার ও নেতিবাচক’ বিষয় তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ফেইসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকও করেন তারা। ওই সফরের পর দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি অবমাননাসহ বাংলাদেশের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সাপেক্ষে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অভিযোগ/অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
এরপর গত এপ্রিলে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ষান্মাষিক ‘গভার্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করলে দেখা যায়, তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধে তারা প্রথমবারের মত সাড়া দিয়েছে। গতবছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১২টি অনুরোধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৩১ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়া হয়েছিল ফেইসবুকের কাছে। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারকে দিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত আড়াই বছরে মোট ৩৭ জন ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পায়নি বাংলাদেশ সরকার।
রুস্তম আলী ফরাজীর আরেক প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ফেইসবুক, গুগল ও মাইক্রোসফট এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সদরদপ্তরসমূহের সহায়তায় বিটিআরসি ও ল’ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও এ বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।” নীতিমালা পরিপন্থী ভিডিও সরাবে ইউটিউব সংরক্ষিত আসনের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, “গুগল কর্তৃক ইউটিউবে নীতিমালা পরিপন্থি ভিডিও সরকারের অনুরোধে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া শিশু পর্নোগ্রাফি রোধ ও এবং সাইবার নিরাপত্তায় মাইক্রোসফটের সাথেও সরকার কাজ করছে।” বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী তারানা বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে তারমধ্যে ২০টি বাংলাদেশের জন্য এবং ২০টি দেশের বাইরের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে বিদেশি মুদ্রা আয় করা যাবে। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।